E-Tin Certificate | How to Apply ?

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার নিয়ম (২০২৩)

E-Tin Certificate | How to Apply

ই-টিন সার্টিফিকেট হল একটি অনলাইন আইডি যা করদাতারা সরকারি পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটে লগইন করার এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার একটি নিরাপদ উপায়।

Overview of this Contents Post

প্রথমে ই-টিন সার্টিফিকেট জন্য আবেদন করতে, https://secure.incometax.gov.bd/TINHome ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য মোবাইল নাম্বার সহ সকল তথ্য, দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করতে হবে ।

• ই-টিন সার্টিফিকেট: এটা কি ?
• কিভাবে একটি ই-টিন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হয় ?
• কি তথ্য প্রয়োজন ?
• কিভাবে ই-টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করবেন ?
• একটি ই-টিন সার্টিফিকেট থাকার সুবিধা কি কি ?
• একটি ই-টিন সার্টিফিকেটের মেয়াদ কতদিন ?

✅ ই-টিন সার্টিফিকেট: এটা কি ?

একটি ই-টিন সার্টিফিকেট হল একটি অন-লাইন প্রশংসাপত্র যা একজন ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণ করে। এটি ভারতের আয়কর বিভাগ দ্বারা জারি করা হয় এবং কিছু আর্থিক লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রশংসাপত্র ব্যক্তির প্যান (স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর), নাম, জন্ম তারিখ এবং ছবি থাকে।

ব্যক্তিরা আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইটে লগ ইন করে এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করে একটি ই-টিন প্রশংসাপত্রর জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রক্রিয়াটি সহজ এবং মাত্র কয়েক মিনিট সময় নেয়।

একটি ই-টিন সার্টিফিকেট একটি মূল্যবান দলিল যা ব্যক্তিদের তাদের পরিচয় প্রমাণ করতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ট্যাক্স ফাইল করা, একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা বা ঋণের জন্য আবেদন করা।

✅ কিভাবে একটি ই-টিন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হয় ?

আপনি যদি ই-টিন প্রশংসাপত্রর জন্য আবেদন করতে চান তবে আপনাকে নিম্নলিখিতগুলি করতে হবে:

প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে যান। আপনি আপনার প্রিয় সার্চ ইঞ্জিনে "জাতীয় রাজস্ব বোর্ড" অনুসন্ধান করে ওয়েবসাইটটি খুঁজে পেতে পারেন।

এরপর, ওয়েবসাইটের "ই-টিনঅ্যাপ্লিকেশন" শিরোনামের বিভাগটি খুঁজুন। এই বিভাগে একটি লিঙ্ক থাকবে যেখানে লেখা থাকবে "ই-টিনের জন্য আবেদন করুন।" সেই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

একবার আপনি সেই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলে, আপনাকে একটি ফর্ম সহ একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাওয়া হবে। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা সহ ফর্মটি পূরণ করুন৷

আপনি ফর্মটি পূরণ করার পরে, সাবমিট বোতামে ক্লিক করুন। একবার আপনি এটি করলে, আপনাকে একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে যাওয়া হবে যেখানে একটি নিশ্চিতকরণ নম্বর থাকবে। এই নম্বরটি সংরক্ষণ করা নিশ্চিত করুন, কারণ আপনার আবেদনের বিষয়ে NBR-এর সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হলে আপনার এটির প্রয়োজন হবে।

আপনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট পাবেন। আপনি যদি এটি না পান, বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার যদি অন্য কোনো প্রশ্ন থাকে, আপনি এনবিআর-এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

✅ কি তথ্য প্রয়োজন ?

একটি ই-টিন প্রশংসাপত্রর জন্য আবেদন করার সময়, নিম্নলিখিত তথ্য প্রয়োজন:

১) আবেদনকারীর নাম 

২) আবেদনকারীর জন্ম তারিখ
৩) আবেদনকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর
৪) আবেদনকারীর ঠিকানা
৫) আবেদনকারীর ফোন নম্বর
৬) যে ব্যবসার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট চাওয়া হচ্ছে তার নাম
৭) ব্যবসার ঠিকানা
৮) ব্যবসায়িক ফোন নম্বর
৯) ব্যবসা EIN (নিয়োগকর্তা সনাক্তকরণ নম্বর)
১০) আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি অনুলিপি বা অন্য সরকার-প্রদত্ত আইডি

✅ কিভাবে ই-টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করবেন ?

ই-টিন সার্টিফিকেট: কিভাবে ব্যবহার করবেন

ই-টিন সার্টিফিকেট হল একটি অনলাইন প্রশংসাপত্র যা ব্যবসাগুলিকে ভ্যাট নিবন্ধন করতে এবং ইলেকট্রনিকভাবে তাদের ভ্যাট রিটার্ন ফাইল করার অনুমতি দেয়। এই অনলাইন পরিষেবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসার জন্য উপলব্ধ এবং এক বছরের জন্য বৈধ। ই-টিন প্রশংসাপত্রর জন্য আবেদন করার জন্য, ব্যবসার অবশ্যই একটি বৈধ UAE ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে এবং ফেডারেল ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের সাথে নিবন্ধিত হতে হবে।

আপনি আপনার ই-টিন প্রশংসাপত্রর জন্য আবেদন এবং পেয়ে গেলে, আপনি ইলেকট্রনিকভাবে আপনার ভ্যাট রিটার্ন ফাইল করার জন্য এটি ব্যবহার করা শুরু করতে পারেন। এটি করার জন্য, আপনাকে ফেডারেল ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে এবং মেনু থেকে 'ই-টিন' বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে। এখান থেকে, আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার ই-টিন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড লিখতে সক্ষম হবেন।

একবার আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করলে, আপনি আপনার আগের ভ্যাট রিটার্ন দেখতে পারবেন, সেইসাথে নতুন ফাইল করতে পারবেন। একটি নতুন ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে, আপনাকে আপনার ব্যবসার বিশদ বিবরণ লিখতে হবে, যেমন আপনার করের সময়কাল, মোট বিক্রয়, মোট কেনাকাটা এবং যেকোনো ভ্যাট বকেয়া। একবার আপনি সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশ করান, তারপর আপনি ইলেকট্রনিকভাবে আপনার ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে পারেন।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যবসায়গুলিকে তাদের ভ্যাট রিটার্ন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ফাইল করতে হবে। যাইহোক, যদি আপনার ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার BDT/ ১ লক্ষ টাকার কম হয়, আপনি অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে আপনার ভ্যাট রিটার্ন ফাইল করতে সক্ষম হবেন।

ই-টিন সার্টিফিকেট বা এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, আপনি ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে ফেডারেল ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

✅ একটি ই-টিন সার্টিফিকেট থাকার সুবিধা কি কি ?

ই-টিন সার্টিফিকেট ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করে। সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করার ক্ষমতা। ই-টিন প্রশংসাপত্র হল করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)-এর জন্য আবেদন ও গ্রহণ করার একটি কাগজ বিহীন উপায়। এটি অন-লাইনে করা যেতে পারে, সরকারি অফিসে যাতায়াত বা লাইনে অপেক্ষা করার প্রয়োজন দূর করে। ই-টিন সার্টিফিকেট হারানো বা চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও কম, এবং এটি সহজেই অন্যদের সাথে ইলেকট্রনিকভাবে শেয়ার করা যায়।

ই-টিন সার্টিফিকেটের আরেকটি সুবিধা হল যে এটি পরিচয় চুরির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্য করে। যখন কোনো ব্যবসা বা ব্যক্তি টিআইএন-এর জন্য আবেদন করে, তখন তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর বা জন্ম তারিখের মতো ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হয়। এই তথ্য তারপর একটি সরকারী ডাটাবেসে সংরক্ষণ করা হয়. এই ডাটাবেস আপস করা হলে, তথ্য পরিচয় চুরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে. যাইহোক, ই-টিন সার্টিফিকেটের সাথে, তথ্যগুলি কেন্দ্রীয় স্থানে সংরক্ষণ করা হয় না। পরিবর্তে, এটি বিভক্ত এবং এনক্রিপ্ট করা হয়েছে, এটি পরিচয় চোরদের অ্যাক্সেস করা আরও কঠিন করে তোলে।

অবশেষে, ই-টিন সার্টিফিকেট ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের জরিমানা এড়াতে সাহায্য করতে পারে। অতীতে, ব্যবসা এবং ব্যক্তি যাদের টিআইএন ছিল না তাদের করের উপর বিলম্ব ফি বা সুদের সাপেক্ষে হতে পারে। ই-টিন প্রশংসাপত্রর মাধ্যমে, ব্যবসা এবং ব্যক্তিরা এই জরিমানা নিয়ে চিন্তা না করেই অনলাইনে একটি টিআইএন-এর জন্য আবেদন করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, ই-টিন সার্টিফিকেট ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করে। এটি একটি টিআইএন-এর জন্য আবেদন করার একটি কাগজবিহীন, দ্রুত এবং নিরাপদ উপায়৷ এটি পরিচয় চুরি থেকে রক্ষা করতে এবং জরিমানা এড়াতেও সাহায্য করে।

 

✅ একটি ই-টিন সার্টিফিকেটের মেয়াদ কতদিন ?

ই-টিন সার্টিফিকেট ইস্যু করার তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য বৈধ।

 

 

🖥️ Osman iT Info ফেসবুক পেজ লাইক দিন এবং🔍 WhatsApp Group 🔍 Telegram Group ফলো করুন।

Thank You For Reading This Post 😊